শেখ মোস্তফা কামাল, কেশবপুর যশোর প্রতিনিধিঃ কেশবপুরের ইউপি নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে বৈদ্যুতিক ফ্যান টানিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ঘুরানোর ছবি তোলায় সাংবাদিকদের উপর হামলা ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার জাহানপুর বাজারে।
এ ঘটনায় আহত সাংবাদিক এনামুল হাসান কেশবপুর থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন৷ জানা গেছে, বুধবার রাতে উপজেলার ১০নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী মোঃ মজিবর রহমানের বৈদ্যুতিক পাখা প্রতিকের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বৈদ্যুতিক ফ্যান টানিয়ে তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ঘুরাচ্ছিলেন।
এসময় ছবি তোলাতে দৈনিক অর্থনীতির কাগজের কেশবপুর প্রতিনিধি এনামুল হাসানের উপর মেম্বর প্রার্থীর আপন ভাই আতিয়ার রহমান সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় সাংবাদিক এনামুল হাসানের সাথে উপস্থিত ছিলেন,
মধুমতি টিভির মেহেদী হাসান ও সাপ্তাহিক স্মৃতি পত্রিকার মোস্তফা কামাল তারাও তার হামলার শিকার হন। এ সময় তাদের কাছে থাকা ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ও তার সাংবাদিকের আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং একটি মোবাইল ভেঙ্গে দেয়।
স্থানীয়রা জানান, বৈদ্যুতিক পাখায় (ফ্যান) বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ফ্যান চালিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন সেই দৃশ্য ধারণ ও ছবি তুলতে থাকেন সাংবাদিক এনামুল হাসান। ঘটনার দৃশ্য ধারণ ও ছবি তোলার কারণে ওই মেম্বর প্রার্থীর আপন ভাই আতিয়ার রহমান সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাঁর উপর চড়াও হন এবং সাংবাদিকের উপর তার নেতৃত্বে হামলা চালান এবং পরবর্তীতে সংবাদ প্রকাশ করলে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন।
হামলাকারী আতিয়ার রহমান নিজেকে কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিক দাবী করলেও খোঁজ নিয়ে জানা যায় তার সাথে প্রেসক্লাবের কোন সম্পকৃততা নেই। বিষয়টি তৎক্ষনাত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ বজলুর রশিদের সাথে মুঠোফোনে জানানো হলে তিনি বলেন,
বৈদ্যুতিক পাখায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ফ্যান চালিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালানো এটা নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘন। তবে ব্যাপারে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিকভাবে কেশবপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গেলে হামলাকারী আতিয়ার রহমান এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয়।
এদিকে সাংবাদিক এনামুল হাসানসহ সাথে থাকা সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহম্মদ বোরহান উদ্দীন বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।